ঢাকা | শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১ |
২৬ °সে
|
বাংলা কনভার্টার
walton

নিরাপদ ওয়েব ব্রাউজিংয়ের ৫ কৌশল

নিরাপদ ওয়েব ব্রাউজিংয়ের ৫ কৌশল
নিরাপদ ওয়েব ব্রাউজিংয়ের ৫ কৌশল

ইন্টারনেটে ফিশিং, ম্যালওয়্যার, ভাইরাসের সঙ্গেই বসবাস করতে হয় নেটিজেনদের। নানা কাজেই প্রতিদিন প্রবেশ করতে হয় জানা-অজানা ওয়েবসাইটে। কিন্তু এমন অনেক ওয়েবসাইট রয়েছে যা ব্যবহার করে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের বোকা বানিয়ে ভুয়া ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ক্ষতিকর ম্যালওয়্যার ও ভাইরাস আক্রমণ করে থাকে সাইবার অপরাধীরা। এসব ম্যালওয়্যার ও ভাইরাস যন্ত্রে প্রবেশ করেই ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত বা গোপনীয় তথ্য সাইবার অপরাধীদের পাঠাতে থাকে। এই অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে ওয়েবসাইটে প্রবেশের আগে তা যাচাই করে দেখা দরকার। এখন জেনে নেই কীভাবে।

এসএসএল সার্টিফিকেশন

নিরাপদ ওয়েবসাইট চেনার সবচেয়ে প্রাথমিক বিষয় হলো এর হাইপারটেক্সট ট্রান্সফার প্রটোকল সিকিউরিটি। সংক্ষেপে এটাকে এইচটিটিপিএস বলা হয়। অর্থাৎ কোনো ওয়েব ঠিকানার শুরুতে এইচটিটিপিএস লেখা আছে কি না তা দেখাটা জরুরী। এইচটিটিপিএস-এ যেহেতু সিকিউর উল্লেখ করা রয়েছে, তাই বোঝা যায় এসএসএল সার্টিফিকেশন হিসেবে এইচটিটিপিএস থাকলে সেই ওয়েবসাইটে প্রবেশ করা নিরাপদ। সেই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে নিরাপদে তথ্য আদান-প্রদান করা সম্ভব। তাই ওয়েবসাইটে প্রবেশের আগে ব্রাউজারের অ্যাড্রেসবারের বাঁ কোনায় থাকা লক আইকন বা সাইট ইনফরমেশন অপশনে ক্লিক করে ওয়েবসাইটটি নিরাপদ কি না, তা দেখে নিতে হবে।

ওয়েবসাইটের ডোমেইন নাম যাচাই

হাইপারটেক্সট ট্রান্সফার প্রটোকল ‘সিকিউর’ না হলেই যে সাইটটি অনিরাপদ তা বলা যায় না। তাই এইচটিটিপি সাইট এর ডোমেইন বা ওয়েবসাইটের ঠিকানাটা যাচাই করা এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ। সাধারণত ডটকম, ডটওআরজি প্রভৃতি এক্সটেনশন দিয়ে ডোমেইন নাম লেখা হয়। ডটকম মানে হলো প্রতিষ্ঠানটি কমার্শিয়াল বা বাণিজ্যিক। আর ডটওআরজি মানে হলো, এটি একটি অর্গানাইজেশন বা সংস্থা। ভুয়া বা ক্ষতিকর ওয়েবসাইটগুলোয় সাধারণত পরিচিত ওয়েবসাইটের ঠিকানার আদলে নতুন ডোমেইন নাম ব্যবহার করা হয়। খুব সূক্ষ্মভাবে পর্যবেক্ষণ না করলে নতুন ডোমেইনের নামের পার্থক্য বা অক্ষরের কম-বেশি চোখে পড়ে না। তাই ওয়েবসাইট নিরাপদ কি না, তা জানার জন্য প্রথমেই সেটির ডোমেইনের নাম ও বানান যাচাই করতে হবে।

ভিন্ন ঠিকানার ওয়েবসাইটে চালু

ওয়েবসাইটে থাকা বিভিন্ন তথ্য জানার জন্য ক্লিক করলে যদি অন্য ওয়েবসাইট চালু হয় তবে বুঝতে হবে ওয়েবসাইটটি রিডাইরেকশন করা রয়েছে। এ পদ্ধতি কাজে লাগিয়ে হ্যাকাররা সাধারণত ম্যালওয়্যার ও ভাইরাস ছড়ানোর কাজে ব্যবহৃত ওয়েবসাইট ব্যবহারে বাধ্য করে থাকে। তাই এক ঠিকানার বদলে অন্য ঠিকানার ওয়েবসাইট চালু হলে সেটি ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকতে হবে।

ওয়েবসাইটের পরিচিতি সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ

বেশির ভাগ ওয়েবসাইটেই ‘অ্যাবাউট আস’ ও ‘কন্টাক্ট’ নামে অপশন থাকে। অপশনগুলোয় ওয়েবসাইটের পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানের পরিচিতি সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা পাশাপাশি যোগাযোগের জন্য ই-মেইল ঠিকানা বা ফোন নম্বরও পাওয়া যায়। যেসব ওয়েবসাইটে এসব তথ্য থাকে না, সেগুলো এড়িয়ে চলাই ভালো।

পপআপ স্ক্যাম

অনেক সময় ওয়েবসাইটে পপআপ বিজ্ঞাপন থাকে। ওই বিজ্ঞাপনটি যদি লোভোনীয় হয় বা গুগল’র র‌্যান্ডম বিজ্ঞাপন হয় তবে তা এড়িয়ে চলাটাই বুদ্ধিমানের কাজ। কেননা ওয়েব সাইট নিরাপদ হলেও ওই বিজ্ঞাপনের রিডাইরেক্ট করা লিংকটি ফিংশিং হতে পারে।

নিরাপদ,ওয়েব ব্রাউজিং,৫ কৌশল
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
Transcend